ঝিনাইদহের যাদবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোসা. তাছলিমা খাতুনের অবসর।
ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী ৩৮নং যাদবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোসা. তাছলিমা খাতুন। চাকরি জীবন থেকে অবসর নিচ্ছেন প্রিয় শিক্ষক—এমন খবরে বিদ্যালয়ে ছুটে আসেন সাবেক শিক্ষার্থীরা। সৃষ্টি হয় আবেগঘন এক পরিবেশ। বিদায় বেলায় সাবেক, বর্তমান শিক্ষার্থী ও সহকর্মীদের ভালোবাসায় সিক্ত হন তিনি।
বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) দুপুরে প্রধান শিক্ষকের অবসরগ্রহণ উপলক্ষে বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী, সহকর্মীরা। এদিন তাকে সম্মাননা স্মারক, উপহারসামগ্রী ও ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়।
যাদবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হিসেবে ১৯৮৭ সালের ১ আগস্ট মোসা. তাছলিমা খাতুনের কর্মজীবন শুরু হয়। এরপর ২০০৫ সালের ২৪ এপ্রিল তিনি পদোন্নতি পেয়ে প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
বিদায়ী অনুষ্ঠানে তাছলিমা খাতুন বলেন, বিদায় অনেক কষ্টের। তবে আমার কোমলমতি শিক্ষার্থী, সহকর্মী ও এলাকাবাসীদের এমন বিদায় সংবর্ধনা পেয়ে আমি সত্যিই মুগ্ধ। বিদ্যালয়ের যেকোনো প্রয়োজনে আমি পাশে থাকব।
তাছলিমা খাতুনের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নাসিমা খাতুন বলেন, ম্যাডামের শূন্যতা কখনই পূরণ হবার নয়। তাকে আমরা আমাদের চাকরি জীবনের শুরু থেকেই দেখেছি, তিনি কখনোই সময়ের অপব্যবহার করতেন না। যথাসময়ে আসতেন এবং যথাসময়ে চলে যেতেন। তার নিয়মানুবর্তিতা, সময়ানুবর্তিতা থেকে আমরা সহকারী শিক্ষকরা অনেক কিছু শিখেছি।
বিদায়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে মহেশপুর উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার গোলাম রসুল রতন, ইসতিয়াক আহমেদ, উপজেলা শিক্ষক সমিতির প্রতিনিধি মাসুদুর রহমান খান, জিয়াউর রহমান, মো. শাহজালাল, জান মোহাম্মদ, মোসলেম উদ্দিন, আমিনুল ইসলাম লিটন ও লায়লা আফরোজ, যাদবপুর ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মঞ্জুরুল আলম, প্রভাষক রকিবুল আলম, কওমি মাদ্রাসার প্রধান মাওলানা কামরুজ্জামান, ডিপিজি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক জাহিদুল ইসলাম শাওন, কৃষ্ণপুর দাখিল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক জহর আলী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
Social Plugin